ওয়েব ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টে পড়াশুনা
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশ যতই এগিয়ে যাচ্ছে, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ততই তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে অবশ্যই সবাইকে তথ্য ও প্রযুক্তিতে পারদর্শী হতে হবে। আর কারিগরি শিক্ষার মধ্য দিয়ে তথ্য প্রযুক্তিতে পারদর্শীতার মাধ্যমে বর্তমান তরুণ সমাজ তাদের ক্যারিয়ারে সফলতা নিয়ে আসতে পারে।
হাতে-কলমে বাস্তবধর্মী শিক্ষাই হলো কারিগরি শিক্ষা। অর্থাৎ যে শিক্ষা কোনো একটা বিষয়ে দক্ষ করে তোলে। প্রযুক্তির যুগ, তাত্ত্বিক জ্ঞান থেকে হাতে-কলমে প্রশিক্ষিত জ্ঞান বেশি সমাদৃত। তাই কারিগরি শিক্ষার গুরুত্বও বেশি। আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষার মধ্যে কারিগরি শিক্ষা হলো অন্যতম সময়োপযোগী শিক্ষা। বর্তমানে সব জায়গায় অভিজ্ঞ ও দক্ষ জনশক্তির ব্যাপক চাহিদা। সুতরাং সহজেই এ বহুমুখী ক্যারিয়ারে প্রতিভার বিকাশ ঘটানো সম্ভব। কোনো জাতির স্কিল্ড ওয়ার্কার তৈরিতে যেমন উচ্চশিক্ষা জরুরি, তেমনি জরুরি ভোকেশনাল ট্রেনিং 'টেকনিক্যাল অ্যান্ড ভোকেশনাল এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং (টিভেট)'। পেশাগত অর্থে ভোকেশনাল শিক্ষাব্যবস্থা হলো কাউকে চাকরি বা কর্মের জন্য উপযুক্ত করে তৈরি করা। সামষ্টিক অর্থে টিভেট ট্রেনিং ব্যবস্থা নির্ভর করে কোনো দেশের আর্থ-সামাজিক ও পরিবেশের পেক্ষাপটের ওপর।
কারিগরি শিক্ষাকে বলা হয় স্বীকৃত টেকনিক্যাল এডুকেশন ব্যবস্থা, যার কদর অনেক সময় বিশ্ববিদ্যালয়কেও ছাড়িয়ে যায়। আইটি সেক্টরের বিভিন্ন ধরনের বিশেষায়িত শাখা যেমন- অ্যানিমেশন ও মাল্টিমিডিয়া, ইন্টেরিয়র ও আর্কিটেকচার, হার্ডওয়্যার ও নেটওয়ার্কিং, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট, ওয়েব ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, আউটসোর্সিং প্রভৃতি সেক্টরই স্বপ্নময় সম্ভাবনাসমৃদ্ধ। কিন্তু দরকার বিশেষায়িত দক্ষতা ও জ্ঞানের গভীরতা এবং বাস্তবমুখী শিক্ষার প্রায়োগিক ক্ষমতা। আমাদের দেশে বাস্তবমুখী শিক্ষা গ্রহণের জন্য পর্যাপ্ত দক্ষ ও মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাবই এ ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায় হয়ে দেখা দিয়েছে।
অনলাইনে কাজের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে ওয়েব প্রোগ্রামিং, আর্টিকেল রাইটিং, পিএইচপি, এইচটিএমএল ও গ্রাফিক্স ডিজাইন। মজার বিষয় হলো গ্রাফিক ডিজাইনার ও এসইও জানা লোক অনলাইনে যথেষ্ট থাকলেও ওয়েব প্রোগ্রামিং জানা লোকের সংখ্যা কম। সম্প্রতি মার্কেটপ্লেস ইল্যান্স তাদের এক জরিপে জানায়, প্রতিমাসে বিশ্বব্যাপী প্রায় ১ মিলিয়ন ওয়েবসাইট অনলাইনে যুক্ত হচ্ছে। আর এই বিশাল সংকটটি চোখে পড়বে তখনই যখন আপনি ওডেস্ক, ইল্যান্স বা এই ধরনের আউটসোর্সিং সাইটগুলোর জব অফারগুলো দেখবেন। ওয়েব ডেভেলপিং কাজের জন্য আবেদনের সংখ্যাও একেবারে কম, তাই সেখানে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
ওয়েব ডিজাইন বলতে আসলে কি বুঝায় ?
ওয়েব ডিজাইন অনেকগুলো স্কীল ও সেটিংস এর সমষ্টি যেমন: গ্রাফিক ডিজাইন, ইন্টারফেস ডিজাইন, অথরিং, ইউজার এক্সপেরিয়েন্স ডিজাইন, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেসন ইত্যাদি। তাই ওয়েব ডিজাইন শিখতে অনেক কিছু সম্পর্কেই ধারণা রাখতে হয়। যদিও স্পেসালাইজেসন আসে শুধু ওয়েব ডিজাইনার নামেই।
শিক্ষা সংক্রান্ত খবরাখবর নিয়মিত পেতে রেজিস্ট্রেশন করুন অথবা Log In করুন।
Account Benefitওয়েবডিজাইন কে ওয়েবসাইট বানাবার কলা বা শিল্প বলেও অভিহিত করা হয়। কারন আপনার ওয়েবসাইট ডিজাইন নির্ধারণ করবে ভিজিটর ও ট্রাফিক, ডিজাইন আকর্ষণীয় হলে ট্রাফিক বাড়বে না হয় কমবে। বর্তমানে সাইবার স্পেসে শত শত মিলিয়ন ওয়েবসাইট রয়েছে যার সংখ্যা প্রতি মাসে বাড়ছে। একজন ওয়েব ডিজাইনারের দায়িত্ব থাকে পুরো ওয়েবসাইটের লে-আউট, কালার স্কীম প্রভৃতির।
ওয়েবসাইটটি শুধু দৃষ্টিনন্দন হলেই হবে না তা যেন ইউজার ফ্রেন্ডলি হয় সে বিষয়েও লক্ষ্য রাখতে হবে। ভিজিটররা যেন খুব সহজে নেভিগেট করতে পারে। ওয়েবসাইট ডিজাইনারকে ওয়েবসাইট র্যাংকিং এর বিষয়টাও মাথায় রাখতে হয়। এমনকি সাইটের কোথায় অ্যাড বসানো যাবে তাও একজন ওয়েব ডিজাইনার সবচেয়ে ভালো বলতে পারবে।একজন ওয়েব ডিজাইনারকে ওয়েব ডিজাইনের কিছু নির্দিষ্ট ফ্যাক্টর জানতে হয় যার মধ্যে রয়েছে-
• স্ক্রীন রেজ্যুলিউসন
• ইমেজ কম্প্রেসন
• ইউজেবিলিটি
• অ্যাক্সেসিবিলিটি
আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেই ওয়েব ডিজাইনিং ও ডেভেলপমেন্ট- কোর্স এ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। তবে এসব প্রতিষ্ঠানে রয়েছে পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল এবং মানসম্মত শিক্ষার পরিবেশ। এ ক্ষেত্রে অনেককাংশে ব্যাতিক্রম দীপ্তি প্রয়াস। দীপ্তি পরিচালিত প্রতিটি কোর্সই হাতে-কলমে নির্ভর। এছাড়া দক্ষ প্রশিক্ষকদের মাধ্যমে দীপ্তির কোর্সগুলো পরিচালনা করা হয়।
কোর্সগুলোর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, কোর্স শেষে বাধ্যতামূলক রিয়েল লাইফ প্রজেক্ট ওয়ার্ক ও ১ থেকে ৩ মাসমেয়াদি ইন্টার্নশিপ, যা একজন শিক্ষার্থীকে হাতে-কলমে কাজ শিখতে সাহায্য করে। দীপ্তি পরিচালিত বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের ড্যাফোডিল ফাউন্ডেশন বৃত্তি প্রদান করে থাকে। নূন্যতম এসএসসি পাস যে কোনো বয়সের যে কেউ এ কোর্সগুলোতে ভর্তি হতে পারবে। প্রফেশনাল প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দীপ্তি গত ১৩ বছরে কয়েক হাজার বেকার প্রশিক্ষণার্থীকে কর্মোপযোগী করে গড়ে তুলেছে, যাদের অনেকেই এখন নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত।
এ ছাড়া রয়েছে প্রশিক্ষকদের সার্বক্ষণিক ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোর্স সমাপ্তি, পরীক্ষা গ্রহণ ও ফল মূল্যায়নের নিশ্চয়তা। নিয়মিত ও পর্যাপ্ত প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসে কঠোরভাবে মান নিয়ন্ত্রণের কারণে এখান থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদেরর কোর্স শেষে চাকরির নিশ্চয়তা শতভাগ। কর্মব্যস্তদের জন্য রয়েছে সান্ধ্যকালীন ক্লাস।
যোগাযোগ: ফোন :৯১৩৪৬৯৫, ০১৭১৩৪৯৩২৬৭; ওয়েবসাইট: www.dipti.com.bd
- মাস্টার্স শেষ পর্ব পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ
- এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্টিফিকেট কোর্স- ইংলিশ, চাইনিজ, আরবি, ফ্রেঞ্চ
- বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল-বিজ্ঞপ্তি
- বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর
- খুবির ৬ষ্ঠ সমাবর্তন ২২ ডিসেম্বর
- জবির সমাবর্তন ১১ জানুয়ারি
- জবিতে শূন্য আসনে ভর্তির সাক্ষাৎকার শুরু ২০ ডিসেম্বর
- রাবিতে আন্তর্জাতিক ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন শুরু বৃহস্পতিবার
- অনার্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা শুরু ১৩ জানুয়ারি; মাস্টার্স রিলিজ স্লিপ আবেদন শুরু ১৯ ডিসেম্বর
- ডিজিটাল মেলা-২০২০ উপলক্ষে টেলিকমিউনিকেশন দফতরের রচনা প্রতিযোগিতা
- ঢাকা পলিটেকনিকে জানুয়ারি-জুন’২০ সেশনে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তি শুরু
- জেএসসি-পিইসির ফল বছরের শেষ দিন
- ৪০তম বিসিএস: লিখিত পরীক্ষা ৪-৮ জানুয়ারি
- তিতুমীর কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের নিবন্ধন শেষ আজ
Submit Your Comments: