খাদ্য প্রকৌশলীরা অবমূল্যায়িত হচ্ছেন: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী

শাবিপ্রবি
খাদ্য প্রকৌশলীদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হচ্ছে না উল্লেখ করে মূল্যায়নের দাবি জানিয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি টেকনোলজি (এফইটি) বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
দেশে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে খাদ্য সম্প্রসারণ অধিদপ্তরসহ সব সরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ ও যথাযথ মূল্যায়ন করার জোর দাবি জানিয়েছেন তারা। তাদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছেন বিভাগের শিক্ষকরাও। গতকাল মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। কিন্তু নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণ এখানো সম্ভব হয়নি। যার ফলে বর্তমান সরকার নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে জনবল সৃষ্টির ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অধীনে প্রস্তাবিত ‘কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও সেচ ব্যবস্থাপনা উইং’এর সঙ্গে খাদ্য ‘সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ উইং’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। গ্রেড-৯ কারিগরি পদসমূহে খাদ্য প্রকৌশলীদের অন্তর্ভুক্তিকরণও উল্লেখ করা হয়নি। অথচ ২০০২ সালে প্রস্তাবিত প্রকল্পে ‘ফলমূল ও শাকসবজি সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ’ সংক্রান্ত বিষয়ে গুরুত্ব অনুধাবন করে স্থায়ী জনবল সৃষ্টি ও খাদ্য প্রকৌশলীদের অন্তর্ভুক্তকরণ উল্লখ করা হলেও ২০১৯ সালে প্রস্তাবিত প্রকল্পে অদৃশ্য ও অজানা কারণে তা বাদ দেওয়া হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, সরকারি এসব ক্ষেত্রে উপযুক্ত গ্র্যাজুয়েটদের অন্তর্ভুক্ত ও যথায়থ মূল্যায়ন করা হচ্ছে না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে খাদ্য সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজতকরণ সংক্রান্ত প্রায়োগিক জ্ঞানের আলোকেই এফইটি বিভাগের শিক্ষা কারিকুলাম তৈরি করা হয়। প্রতিবছর দেশের বেসরকারি, বহুজাতিক ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানসমূহে খাদ্য প্রকৌশলীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। কিন্তু সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে তা উপেক্ষিত। আমাদের বিশ্বাস, এসব ক্ষেত্রে যথাযথভাবে খাদ্য প্রকৌশলীদের সুযোগ দেওয়া হলে দেশ ও জাতির নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে সরকারের উত্তরোত্তর সাফল্য ও অভীষ্ট লক্ষ্য সফলভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভবপর হবে। তাই যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে উপরোক্ত বিষয়টি পুনর্বিবেচনার দাবি জানাচ্ছি।
শিক্ষা সংক্রান্ত খবরাখবর নিয়মিত পেতে রেজিস্ট্রেশন করুন অথবা Log In করুন।
Account Benefitএফইটি বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী আমজাদ পাটোয়ারী বলেন, প্রস্তাবিত এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে খাদ্য প্রকৌশলীদের প্রতি বঞ্চনা ও অবহেলার বিষয়টি পরিপূর্ণভাবে উঠে আসবে। এর ফলে দেশের নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণ হুমকির সম্মুখীন হবে। তাই প্রস্তাবিত এই প্রকল্পে খাদ্য প্রকৌশলীদের অন্তর্ভুক্তি করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানাচ্ছি।
এফইটি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোজাম্মেল হক বলেন, এটা খাদ্য প্রকৌশলীদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার প্রয়াস মাত্র। অথচ নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্যের সুষম বন্টন, ব্যবহার ও প্রক্রিয়াজতকরণ সম্পর্কে খাদ্য প্রকৌশলীদের কার্যক্রম সবচেয়ে বেশি। তারা এসব বিষয় সম্পর্কে ব্যবহারিক ও প্রয়োগিক জ্ঞান অর্জন করে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা করে থাকেন। কিন্তু সম্প্রতি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পে অদৃশ্য কারণে খাদ্য প্রকৌশলীদের বাদ দেওয়া হয়েছে, যা কখনো কাম্য নয়। বিষয়টি পুনির্বিবেচনার জন্য শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করছি।
More detail about
Shahjalal University of Science and Technology
- মাস্টার্স শেষ পর্ব পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ
- এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্টিফিকেট কোর্স- ইংলিশ, চাইনিজ, আরবি, ফ্রেঞ্চ
- বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল-বিজ্ঞপ্তি
- বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর
- খুবির ৬ষ্ঠ সমাবর্তন ২২ ডিসেম্বর
- জবির সমাবর্তন ১১ জানুয়ারি
- জবিতে শূন্য আসনে ভর্তির সাক্ষাৎকার শুরু ২০ ডিসেম্বর
- রাবিতে আন্তর্জাতিক ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন শুরু বৃহস্পতিবার
- অনার্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা শুরু ১৩ জানুয়ারি; মাস্টার্স রিলিজ স্লিপ আবেদন শুরু ১৯ ডিসেম্বর
- ডিজিটাল মেলা-২০২০ উপলক্ষে টেলিকমিউনিকেশন দফতরের রচনা প্রতিযোগিতা
- ঢাকা পলিটেকনিকে জানুয়ারি-জুন’২০ সেশনে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তি শুরু
- জেএসসি-পিইসির ফল বছরের শেষ দিন
- ৪০তম বিসিএস: লিখিত পরীক্ষা ৪-৮ জানুয়ারি
- তিতুমীর কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের নিবন্ধন শেষ আজ
Submit Your Comments: