সম্পূর্ণ বৃত্তিতে চায়নায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যায়নের সুযোগ!

প্রতিকী ছবি
উচ্চ শিক্ষার জন্য বিশ্বের নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি গ্রহণ করতে প্রতি বছরই আমাদের দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা বিদেশে পাড়ি দিচ্ছে। ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ার পাশাপাশি মানসম্মত শিক্ষা ও কম খরচের দেশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের এখন চীনের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। প্রতিবছরই আমাদের দেশ থেকে উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষার জন্য চীন যাচ্ছে।
বর্তমান সময়ে চীন পৃথিবীর দ্রুত অগ্রসরমান দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে। চীনারা মনে করে তাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক এবং রাষ্ট্রীয় উন্নয়নের জন্য শিক্ষার কোন বিকল্প নেই; যে কারণে তারা শিক্ষার উপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করছে। চীনে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বর্তমান বৈশ্বিক বিজ্ঞান প্রযুক্তি এবং বিশেষত শিল্পায়নের সবগুলো ক্ষেত্রকে বিবেচনায় এনে কোর্স প্রনয়ন করা হয়। এছাড়া চীনে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে সম্পূর্ণ বৃত্তিতে পড়ার সুযোগ। বহির্বিশ্বের সঙ্গে সমঝোতা ও সহযোগিতার সম্পর্ক উন্নয়ন এবং শিক্ষা-সংস্কৃতির আদানপ্রদানের লক্ষ্যে প্রতিবছরই বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের শিক্ষাবৃত্তি দিয়ে থাকে চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়।
সে ধারা অব্যাহত রাখতে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যায়নের জন্য বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ বৃত্তি দিচ্ছে চীনের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে:
• Shi Jiazhuang tiedao university;
• Civil Aviation University of China;
• South West petrolioum University;
• Nanjing University of post and telecommunication;
• Hunan University;
• Nanjing University of Science and Technology;
এসকল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মেধা ও পূর্বতন সব পরীক্ষার ফলাফলের ওপর নির্ভর করে শিক্ষার্থীদের ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বৃত্তি প্রদান করা হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের একডেমিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে আবাসিক সুবিধা দেয়া হবে। চীনের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইএলটিএস বাধ্যতামূলক নয়।
তবে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনায় আইইএলটিএস প্রয়োজন হবে। এসকল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে:
• Nanjing University of post and telecommunication;
• Hunan University;
• Nanjing University of Science and Technology;
যেসকল শিক্ষার্থীর আইইএলটিএস স্কোর সর্বনিম্ন ৫ দশমিক ৬ রয়েছে তারা এ বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে আবেদন করতে পারবে। আইইএলটিএসধারী শিক্ষার্থীরা পড়াশুনায় সম্পূর্ণ বৃত্তি এবং বিনামূল্যে আবাসিক সুবিধার পাশাপাশি মেডিকেল ইন্সুরেন্স এবং মাসিক ভাতা পাবে।
বৃত্তিসহ স্নাতক পর্যায়ে অধ্যায়নের জন্য শিক্ষার্থীর এসএসসি ও এইচএসসি পর্যায়ে সর্বনিম্ন জিপিএ ২.৫ থাকতে হবে এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে আবেদনের জন্য সর্বনিম্ন এসএসসি, এইচএসসি এবং স্নাতক পর্যায়ে দ্বিতীয় বিভাগ বা সিজিপিএ ২.৫ থাকতে হবে। আইইএলটিএসের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন স্কোর ৫. ৬ থাকতে হবে।
কেন চীনে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করবেন: চীনে পড়াশোনার জন্য বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের মেধার ভিত্তিতে সম্পুর্ণ বৃত্তিতে পড়ার সুযোগ দেয়া হয়। চীনের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ই সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় বাংলাদেশের যেকোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় পড়াশোনার খরচ অনেক কম। বিশ্বের নামকরা ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় প্রথম সারির দিকে অবস্থান করছে চীনের এ বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ। চীনে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি কাজের সুযোগ রয়েছে (বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি সাপেক্ষ)। চীনের বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়েই আইইএলটিসের প্রয়োজন হয় না। এছাড়া চীনের সব বিশ্ববিদ্যালয়েই ইংরেজী মাধ্যমে পরিচালিত হয়। চীনে অধ্যায়নকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকাভুক্ত ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুযোগ রয়েছে।
শিক্ষা সংক্রান্ত খবরাখবর নিয়মিত পেতে রেজিস্ট্রেশন করুন অথবা Log In করুন।
Account Benefitআবেদনের সময় বেশকিছু প্রয়োজনীয় কাগজের অনুলিপি জমা দিতে হবে বৃত্তিপ্রত্যাশী প্রার্থীদের। আবেদনপত্রের সাথে যা থাকবে:
• নোটারীকৃত সর্বোচ্চ ডিগ্রির সনদ: আবেদনকারীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত সর্বোচ্চ ডিগ্রির নোটারীকৃত সনদের অনুলিপি আবেদন ফরমের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
• পরীক্ষার নম্বরপত্র: সব পরীক্ষার নম্বরপত্রের নোটারীকৃত অনুলিপি আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
• আইইএলটিএস সনদ: যেসকল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইএলটিএস প্রয়োজন সেসকল বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের জন্য আবেদন পত্র ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজাদির সাথে আইইএলটিএসের সনদ জমা দিতে হবে (সর্বনিম্ন ৬ মাসের মেয়াদসহ)।
• দেড় বছরের মেয়াদসহ পাসপোর্টের অনুলিপি এবং এক কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
• স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ: যারা চীনে পড়াশোনায় ইচ্ছুক, তাদের স্বীকৃত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ নিতে হবে।
• মোটিভেশন লেটার: ইংরেজি বা চীনা ভাষায় লিখিত শিক্ষা পরিকল্পনা আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে। এটা স্নাতকদের জন্য ন্যূনতম ১০০ শব্দ এবং স্নাতকোত্তর প্রার্থীদের জন্য ২৫০ শব্দ হতে হবে।
• সুপারিশের পত্র: স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে আবেদনের জন্য অধ্যাপক বা সহযোগী অধ্যাপকের দুটি সুপারিশপত্র (রিকমেন্ডেশন লেটার) দিতে হবে।
• পুলিশ ক্লিয়ারেন্স: যেসকল শিক্ষার্থী চীনে পড়াশোনার জন্য আবেদন করবে তাদের আবেদন পত্রের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স জমা দিতে হবে। যা অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমেও সংগ্রহ করা যাবে।
চীনসহ বিভিন্ন দেশে উচ্চ শিক্ষার বিস্তারিত তথ্য জানতে ও বিদেশে উচ্চ শিক্ষায় যেকোনো নির্দেশনা পেতে যোগাযোগ করুন প্রায়র সলিউশনস লিমিটেডে। ফোন: ০১৯০৬৮১৮২৮২ বা ০৯৬৬৬-৯১১৫২৮ নম্বরে। অথবা সরাসরি আমাদের অফিসে চলে আসুন। আমাদের অফিসের ঠিকানা: ০৫, প্রবাল হাউজিং, রিং রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা। এছাড়া অ্যাসেসমেন্টের জন্য ক্লিক করুন এই লিংকে...
- মাস্টার্স শেষ পর্ব পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ
- এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্টিফিকেট কোর্স- ইংলিশ, চাইনিজ, আরবি, ফ্রেঞ্চ
- বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল-বিজ্ঞপ্তি
- বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর
- খুবির ৬ষ্ঠ সমাবর্তন ২২ ডিসেম্বর
- জবির সমাবর্তন ১১ জানুয়ারি
- জবিতে শূন্য আসনে ভর্তির সাক্ষাৎকার শুরু ২০ ডিসেম্বর
- রাবিতে আন্তর্জাতিক ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন শুরু বৃহস্পতিবার
- অনার্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা শুরু ১৩ জানুয়ারি; মাস্টার্স রিলিজ স্লিপ আবেদন শুরু ১৯ ডিসেম্বর
- ডিজিটাল মেলা-২০২০ উপলক্ষে টেলিকমিউনিকেশন দফতরের রচনা প্রতিযোগিতা
- ঢাকা পলিটেকনিকে জানুয়ারি-জুন’২০ সেশনে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তি শুরু
- জেএসসি-পিইসির ফল বছরের শেষ দিন
- ৪০তম বিসিএস: লিখিত পরীক্ষা ৪-৮ জানুয়ারি
- তিতুমীর কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের নিবন্ধন শেষ আজ
Submit Your Comments: