জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সিএসই অধ্যায়ন হোক ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব আইটিতে

ডিআইআইটি
বর্তমান যুগে আমাদের দৈনদিন সব কাজেই রয়েছে প্রযুক্তির ছোয়া। আমাদের প্রাত্যাহিক জীবনে প্রযুক্তির অন্যতম আবিষ্কার কম্পিউটারের ভূমিকা অপরীসীম। নিঁখুত কার্যক্ষমতা, দ্রুত গতি ও অসীম তথ্য ভান্ডারসহ নানাবিধ কাজে কম্পিউটারের ব্যবহার অতুলনীয়।
যারা সফটওয়্যার তৈরি করেন এবং এর ব্যবহারগত সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করেন তাদের বলা হয় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তারা নতুন নতুন ব্যবহার ক্ষেত্র, ব্যবহারে বৈচিত্র্য, বাজার চাহিদা, অধিকতর কার্যক্ষমতা ও আধুনিকতা প্রভৃতি মাথায় রেখে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সফটওয়্যার তৈরি করে থাকেন। দিন দিন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে দুনিয়াজুড়ে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কর্মক্ষেত্রের বিস্তৃতি অন্য যে কোনো বিষয়ের তুলনায় অনেক বেশি। বর্তমানে বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণিত হয়েছে। প্রযুক্তির চাহিদা এখানে দিন দিন বেড়েই চলছে। প্রযুক্তির চাহিদার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলছে প্রযুক্তিবিদের চাহিদা।
এসব দিক থেকেই কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) শিক্ষার্থীদের নিকট চাহিদাযোগ্য একটি বিষয় হয় দাঁড়িয়েছে। এ বিষয় পড়াশোনায় শিক্ষার্থীরা সর্বত্রই প্রযুক্তির ছোঁয়ায় থাকে বলে শিক্ষাকে শুধু পড়াশোনার চাপ হিসেবে না নিয়ে আনন্দ ও বিনোদনের অংশ খুঁজে পায়। অন্যদিকে গড়ে উঠতে থাকে চাকরির ক্যারিয়ারও। দিন দিন এ কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্টের চাহিদা যেমন বাড়ছে তেমনি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কর্মসংস্থানের সুযোগ।
বাংলাদেশের অনেক সিএসই ইঞ্জিনিয়ারই বিশ্বের নামকরা প্রতিষ্ঠানে সাফল্যের সঙ্গে চাকরি করছে। তবে শুধু চাকরিই নয়, যারা নয়টা-পাঁচটা অফিস করতে চান না তাদের জন্য রয়েছে ঘরে বসেই ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করে আয়ের সুযোগ। সিএসই বিষয়টি প্রধান কর্মক্ষেত্র হচ্ছে শিক্ষকতা, গবেষণা, প্রোগ্রামিং। এসব সেক্টরের পাশাপাশি সুযোগ থাকছে ব্যাংক, কর্পোরেট হাউস, মিডিয়াসহ প্রায় সব জায়গায়। বর্তমান সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরিতে সবচেয়ে বড় সহযোগী হতে পারে দেশের সিএসই পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা।
কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রকৌশলের সাধারণ কার্যাবলীর মধ্যে রয়েছে সাধারণ ও বিশেষ কম্পিউটারের জন্য সফটওয়ার তৈরি করা, এমবেডেড মাইক্রোকন্ট্রোলারের জন্য ফার্মওয়ার লিখা, বিভিন্ন ভিএলএসআই চিপ ডিজাইন, বিভিন্ন এনালগ সেন্সর ডিজাইন, বিভিন্ন সার্কিট বোর্ড ডিজাইন এবং অপারেটিং সিস্টেম ডিজাইন প্রভৃতি। কম্পিউটার প্রকৌশলীরা রোবোটিক্স গবেষণার জন্য উপযুক্ত, যা বিভিন্ন তড়িৎ সিস্টেম যেমন মোটর, যোগাযোগব্যবস্থা, সেন্সর প্রভৃতি নিয়ন্ত্রণে ডিজিটাল সিস্টেমের উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল।
দেশে ছাড়াও বিদেশেও সিএসই ডিগ্রীধারীদের জন্য রয়েছে অফুরন্ত কাজের সুযোগ। আমাদের সিএসই শিক্ষার্থীদের অনেকেই বিএসসি করেই চাকরিতে যোগ দেয়। ইউরোপ-আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালগুলোতে পিএইচডি করতে হলে মাস্টার্স ডিগ্রি থাকা চাই। আর সঙ্গে থাকা চাই ইংরেজিতে ভালো দখল। এসব থাকলে কম্পিউটার সায়েন্সের শিক্ষার্থীদের বিদেশে পড়ার পর্যাপ্ত সুযোগ রয়েছে। আইএলটিএস অথবা জিআরইতে একটু ভালো স্কোর করতে পারলে বিশ্বের যে কোনো ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা লাভ করা সম্ভব। আমাদের শিক্ষার্থীদের অনেকে তা করছেও। বাংলাদেশী দক্ষ কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদের দেশি-বিদেশি নামকরা প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ হচ্ছে। অনেকেই আইবিএম, মাইক্রোসফ্ট ও গুগলের মতো বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ পাচ্ছে।
তথ্য-প্রযুক্তির বিপ্লবের এ যুগে ছেলেমেয়ে উভয়েই ভর্তি হচ্ছে এইবিষয়ে। সবাই সাফ্যলের সঙ্গে কাজও করছে। বরং কম্পিউটার সায়েন্সে পড়াশোনা করা মেয়েদের জন্য বেশ সুবিধার। কেননা এ পেশায় অফিসিয়াল কাজ বেশি; তাই এ পেশায় মাঠ পর্যায়ের কাজ করতে হয় না। তাছাড়া অনেক মেয়েই ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করছে। এতে মেয়েরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি তার পরিবারকেও সময় দিতে পারছে।
শিক্ষা সংক্রান্ত খবরাখবর নিয়মিত পেতে রেজিস্ট্রেশন করুন অথবা Log In করুন।
Account Benefitসরকারি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও সিএসইতে পড়তে পারবে শিক্ষার্থীরা। তবে শিক্ষার্থীদের চাহিদা, খরচ, সহযলভ্যতার কথা বিবেচনা করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনও প্রফেশনাল সিএসই কোর্সটি চালু রয়েছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন প্রফেশনাল সিএসই কোর্সে শিক্ষার্থীরা সহযেই এই বিষয়ে অধ্যায়ন করতে পারে। তাছাড়া সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সবাই ভর্তি হতে পারে না। অনেক বাধা থাকে কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন অনেক কলেজে সিএসই চালু থাকায় সহজেই শিক্ষার্থীরা অধ্যায়নের সুযোগ পাচ্ছে।
বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রফেশনাল সিএসই কোর্সে পড়ার সুযোগ রয়েছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব আইটি (ডিআইআইটি)। ডিআইআইটিতে প্রফেশনাল সিএসই পড়াশোনায় শিক্ষার্থীদের জন্য নানা মেধা বৃত্তির সুযোগ রয়েছে। এছাড়া ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব আইটিতে সিএসই কোর্সে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের প্রত্যেককে একটি করে ল্যাপটপ প্রদান করা হয়।
রাজধানীর কলাবাগানে অবস্থিত এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে প্রায় ৭’শত এর বেশি শিক্ষার্থী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন প্রফেশনাল সিএসই কোর্সে পড়াশুনা করছে।
ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব আইটিতে প্রফেশনাল সিএসই কোর্সে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় পৃথকভাবে ন্যূনতম জিপিএ ২.০০ থাকতে হবে। কারিগরি বোর্ডের অধীন এইচএসসি বা সমমান পাসকৃতরাও এই কোর্সে আবেদন করতে পারবে।
ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব আইটি’তে প্রফেশনাল সিএসইতে পড়াশোনায় একজন শিক্ষার্থীর মোট খরচ হবে ৩ লক্ষ ১০ হাজার টাকা মাত্র। তবে যেসকল শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও এইচএসসি গোল্ডেন জিপিএ ৫.০০ রয়েছে তাদের খরচ হবে ১ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা ও যাদের এসএসসি ও এইচএসসি’তে শুধুমাত্র জিপিএ ৫.০০ রয়েছে তাদের খরচ হবে ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা, যাদের জিপিএ ৪.৫০ থেকে ৪.৯৯ এর মধ্যে রয়েছে তাদের খরচ হবে ২ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা, যেসকলদের জিপিএ ৪.০০ থেকে ৪.৪৯ এর মধ্যে রয়েছে তাদের খরচ ২ লক্ষ ৮২ হাজার টাকা, যেসকল শিক্ষার্থীদের জিপিএ ৩.৫০ থেকে ৩.৯৯ এর মধ্যে রয়েছে তাদের খরচ হবে ২ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকা এবং যেসকল শিক্ষার্থীদের ৩.০০ এর নিচ থেকে ২.০০ এর মধ্যে রয়েছে তাদের খরচ হবে ৩ লক্ষ ১০ হাজার টাকা।
১৩৮ ক্রেডিটের এই কোর্সের মেয়াদ ৪ বছর।
১৯৯৭ সালে ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব আইটি সম্পূর্ণ অলাভজনক, উদ্ভাবনমূলক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে ২০০০ সালে এটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়।
বর্তমানে ডিআইআইটিতে বিশ্ববিদ্যালয় মানের, অভিজ্ঞ এবং বিশেষজ্ঞ শিক্ষকগণ রয়েছে। ডিআইআইটির শিক্ষার্থীদের চমৎকার ফলাফলের রেকর্ড রয়েছে। অত্যাধুনিক ও মানসম্পন্ন ডিআইআইটিতে রয়েছে গুগল ক্লাসরুম। এছাড়া সম্পূর্ণ ক্যাম্পাসেই রয়েছে ইন্টারনেট সুবিধা। শিক্ষার্থীদের মানসমম্মত শিক্ষা এবং সঠিক জ্ঞানার্জনের সুযোগ করে দিতে ডিআইআইটিতে বিভিন্ন জার্নাল, আর্টিকেল ও বইয়ের সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার রয়েছে।
বর্তমানে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব আইটিতে চার বছর মেয়াদী সিএসই প্রফেশনাল কোর্সে ভর্তি চলছে। ভর্তির আবেদনের জন্য যোগাযোগ ০১৭১৩-৪৯৩২৮৬ নম্বরে।
More detail about
Daffodil Institute of IT
- মাস্টার্স শেষ পর্ব পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ
- এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্টিফিকেট কোর্স- ইংলিশ, চাইনিজ, আরবি, ফ্রেঞ্চ
- বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল-বিজ্ঞপ্তি
- বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর
- খুবির ৬ষ্ঠ সমাবর্তন ২২ ডিসেম্বর
- জবির সমাবর্তন ১১ জানুয়ারি
- জবিতে শূন্য আসনে ভর্তির সাক্ষাৎকার শুরু ২০ ডিসেম্বর
- রাবিতে আন্তর্জাতিক ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন শুরু বৃহস্পতিবার
- অনার্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা শুরু ১৩ জানুয়ারি; মাস্টার্স রিলিজ স্লিপ আবেদন শুরু ১৯ ডিসেম্বর
- ডিজিটাল মেলা-২০২০ উপলক্ষে টেলিকমিউনিকেশন দফতরের রচনা প্রতিযোগিতা
- ঢাকা পলিটেকনিকে জানুয়ারি-জুন’২০ সেশনে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তি শুরু
- জেএসসি-পিইসির ফল বছরের শেষ দিন
- ৪০তম বিসিএস: লিখিত পরীক্ষা ৪-৮ জানুয়ারি
- তিতুমীর কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের নিবন্ধন শেষ আজ
Submit Your Comments: