দারুল ইহসান বন্ধ হলে কী হবে শিক্ষার্থীদের?
অবশেষে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে নানা অভিযোগে অভিযুক্ত বেসরকারি দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটি। হাইকোর্টের রায় এবং মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধ করে দেয়া হলেও অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের বিষয়ে কিছুই ভাবেননি নীতিনির্ধারকরা।
দারুল হইসান বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষামন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের বিষয়ে কোনো ধরনের পদক্ষেপ ছাড়াই প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানটির রেজিস্ট্রার আফসার আহমেদ জানিয়েছেন, তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন। নির্দেশনা পেলে সে অনুযায়ী কাজ করবেন।
২৬ জুলাই (মঙ্গলবার) রাতে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আফসার আহমেদ বলেন, 'আমাদের একটিই শাখা ধানমণ্ডির ৯/এ'তে। যা শিক্ষামন্ত্রণালয় এবং ইউজিসি (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন) অনুমোদিত। আমাদের আর কোথাও কোনো শাখা ছিল না, এখনো নেই।' অনুমোদিত, তারপরও কেনো আপনাদের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হলো? এমন প্রশ্নে রেজিস্ট্রার বলেন, 'কার্যক্রম বন্ধের বিষয়ে আমরা কোনো নির্দেশনা পাইনি। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পেলে জানতে পারবো কেনো, কী কারণে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।'
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে বর্তমানে ৮০০ শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠানটিতে অধ্যায়নরত। কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার ফলে শিক্ষার্থীদের ভবিষৎ কী? উত্তরে আফসার আহমেদ বলেন, 'অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবো।' কী ধরনের ব্যবস্থা? সে বিষয়ে তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় এবং ইউজিসির নির্দেশনা যা থাকবে সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিবো। মোটকথা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করবো।'
দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়া প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রণালয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপ-সচিব বেগম জিন্নাত রেহানা বলেন, 'দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় ১৩টি রিট করে টিকে ছিল। এতোদিন আদালতের নির্দেশনা ছিল, প্রতিষ্ঠানটি তার কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এখন আদালতই নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধ করে দিতে। আদালতের রায় বাস্তাবায়ন করা হচ্ছে।' অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আগে আদালতের রায় বাস্তবায়ন করা হবে। পরে শিক্ষার্থীদের বিষয়। শিক্ষার্থীদের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রণালয় এবং ইউজিসি সিদ্ধান্ত নিবে কী করা যায়। এ মুহূর্তে আদালতের রায় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।'
শিক্ষা সংক্রান্ত খবরাখবর নিয়মিত পেতে রেজিস্ট্রেশন করুন অথবা Log In করুন।
Account Benefitদারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের দিনে আরো ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অননুমোদিত প্রায় ১৬টি আউটার ক্যাম্পাস বন্ধেরও নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষামন্ত্রণালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আউটার ক্যাম্পাসে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের বিষয়েও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারণী প্রতিষ্ঠান শিক্ষামন্ত্রণালয় এবং ইউজিসিই ব্যবস্থা নিবে বলে জানিয়েছেন জিন্নাত রেহানা। মঙ্গলবার বিকেলে শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এ বিজ্ঞপ্তিতে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অননুমোদিত আউটার ক্যাম্পাস বন্ধের নির্দেশনা গণমাধ্যমকে জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাইকোর্টের সাম্প্রতিক রায়ের ভিত্তিতে শিক্ষামন্ত্রণালয় এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করেছে।
১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটি। ২০০৬ সালে মালিকা দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধাররা। তারপর যে যার মতো করে যেখানে-সেখানে ক্যাম্পাস খুলতে থাকেন। শুরু করেন সার্টিফিকেট বিক্রির মতো গুরুতর অপরাধমূলক কাজ। সার্টিফিকেট বিক্রি, মালিকানা দ্বন্দ্বসহ নানাবিধ সমস্যা নিরসনে ২০১০ সালের শেষের দিকে বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠন করে তদন্তের দায়িত্ব দেয় সে সময়ের সরকার। ২০১৩ সালে তদন্তকারীদল তাদের প্রতিবেদন জমা দেন। যেখানে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করে তদন্ত কমিটি। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শিক্ষামন্ত্রণালয় এবং ইউজিসি ব্যবস্থা নিলে আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে এতো দিন কার্যক্রম চালিয়েছে দারুল ইহসান। ২০১৪ সালে ইউজিসি ১২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া থেকে বিরত থাকতে অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের সতর্ক করেছিল। তার মধ্যে অন্যতম ছিল এ দারুল ইহসান। অবশেষে আদালতই বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দিলেন।
More detail about
Darul Ihsan University
- মাস্টার্স শেষ পর্ব পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ
- এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্টিফিকেট কোর্স- ইংলিশ, চাইনিজ, আরবি, ফ্রেঞ্চ
- বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল-বিজ্ঞপ্তি
- বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর
- খুবির ৬ষ্ঠ সমাবর্তন ২২ ডিসেম্বর
- জবির সমাবর্তন ১১ জানুয়ারি
- জবিতে শূন্য আসনে ভর্তির সাক্ষাৎকার শুরু ২০ ডিসেম্বর
- রাবিতে আন্তর্জাতিক ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন শুরু বৃহস্পতিবার
- অনার্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা শুরু ১৩ জানুয়ারি; মাস্টার্স রিলিজ স্লিপ আবেদন শুরু ১৯ ডিসেম্বর
- ডিজিটাল মেলা-২০২০ উপলক্ষে টেলিকমিউনিকেশন দফতরের রচনা প্রতিযোগিতা
- ঢাকা পলিটেকনিকে জানুয়ারি-জুন’২০ সেশনে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তি শুরু
- জেএসসি-পিইসির ফল বছরের শেষ দিন
- ৪০তম বিসিএস: লিখিত পরীক্ষা ৪-৮ জানুয়ারি
- তিতুমীর কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের নিবন্ধন শেষ আজ
Submit Your Comments: