বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কম হওয়ায় আক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর
শিক্ষকদের গবেষণা কম হওয়ায় প্রায়ই মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আক্ষেপ করেন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। গতকাল শুক্রবার (২৮ জুন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের ৭০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমরা যখন কেবিনেটে বসি প্রায়ই কথায় কথায় প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপ করেন, আমাদের এখানে গবেষণা কম হচ্ছে কেন? প্রায়ই বলেন কেন আমরা গবেষণা করছি না। আমাদের বলেন, বিভাগগুলো গবেষণায় যাতে অর্থ পায়, সহযোগিতা পায়—আমরা সহযোগিতা করতে চাই।
তিনি বলেন, আপনাদের বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। শিক্ষাকে আপগ্রেড করার জন্য আপনারা প্রস্তাব নিয়ে আসেন। এটাকে আরো শক্তিশালী করার জন্য যদি সহায়তা বা অর্থের প্রয়োজন হয় আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি, প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে কোনো গাফিলতি করবেন না। তিনি অত্যন্ত উদার। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যখন কোনো কাগজ যায়, সেটিকে আমরা আলাদা সম্মানের সঙ্গে ‘ডিল’ করি।
দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। ভূতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী মতিন উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল এবং ভূতত্ত্ব অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. এএএম শামসুর রহমান। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিভাগের সর্বজ্যেষ্ঠ শিক্ষক অধ্যাপক ড. আ স ম উবাইদউল্লাহ।
শিক্ষা সংক্রান্ত খবরাখবর নিয়মিত পেতে রেজিস্ট্রেশন করুন অথবা Log In করুন।
Account Benefitউপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, এই জায়গাটি অনেক আবেগের ও ভালোবাসার, সে জায়গায় আপনারা মিলিত হয়েছেন। যে বিভাগের অ্যালমানইয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ততা যত বেশি সেই বিভাগ তত সমৃদ্ধ। এ সময় তিনি দেশ ও জাতির সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য ভূতত্ত্ব বিভাগ বাস্তবমুখী বিভিন্ন শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশে শিল্প ক্ষেত্রে একটা বিপ্লব হয়ে গেছে। এর পেছনে ভূতত্ত্ববিদদের অবদান রয়েছে। আপনাদের আবিষ্কারের কারণে বাংলাদেশ সোনার বাংলা হতে যাচ্ছে। ভূতত্ত্ববিদদের কারণে আমরা গ্যাস আবিষ্কার করেছি, কয়লার খনি পেয়েছি। এখন শুনছি বালির মধ্যে খনিজ পদার্থ। এর মধ্যে আমরা সিলিকন নিচ্ছি। বিশাল এ সম্ভাবনার দ্বারকে বড় করতে পারবেন আপনারা।
অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, একটি জাতির বিকাশের পাশাপাশি এসডিজি বাস্তবায়নে ভূতত্ত্বের মতো একটি বিষয়কে যদি আরো আধুনিক না করা হয়, যন্ত্রপাতি আরো সমৃদ্ধ না করা হয় এবং জাতীয় উন্নতির যে ক্ষেত্রগুলোতে ভূতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থীরা মেধা ও শ্রমকে নিয়োগ করে সেভাবে অবদান রাখতে পারার মতো করে গড়ে তোলা না হয়, তাহলে প্রকৃত অর্থে ক্ষতিগ্রস্ত হবে রাষ্ট্র আর রাষ্ট্রের জনগণ, যারা সেবা পাওয়ার মালিক।
এছাড়া উদযাপন অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল আলোকচিত্র প্রদর্শনী, স্মৃতিচারণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
More detail about
Dhaka University
- মাস্টার্স শেষ পর্ব পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ
- এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্টিফিকেট কোর্স- ইংলিশ, চাইনিজ, আরবি, ফ্রেঞ্চ
- বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল-বিজ্ঞপ্তি
- বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর
- খুবির ৬ষ্ঠ সমাবর্তন ২২ ডিসেম্বর
- জবির সমাবর্তন ১১ জানুয়ারি
- জবিতে শূন্য আসনে ভর্তির সাক্ষাৎকার শুরু ২০ ডিসেম্বর
- রাবিতে আন্তর্জাতিক ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন শুরু বৃহস্পতিবার
- অনার্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা শুরু ১৩ জানুয়ারি; মাস্টার্স রিলিজ স্লিপ আবেদন শুরু ১৯ ডিসেম্বর
- ডিজিটাল মেলা-২০২০ উপলক্ষে টেলিকমিউনিকেশন দফতরের রচনা প্রতিযোগিতা
- ঢাকা পলিটেকনিকে জানুয়ারি-জুন’২০ সেশনে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তি শুরু
- জেএসসি-পিইসির ফল বছরের শেষ দিন
- ৪০তম বিসিএস: লিখিত পরীক্ষা ৪-৮ জানুয়ারি
- তিতুমীর কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের নিবন্ধন শেষ আজ
Submit Your Comments: