ঢাবিতে 'বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া বলতে কি বোঝায়' শীর্ষক এক গণবক্তৃতা
বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ে পড়া বলতে প্রধানত বোঝায়- যে বিষয়টি পড়ছি তার সাথে যুক্ত (অন্তত) প্রভাবশালী মতগুলোর সাথে পরিচয়, এবং সে মতগুলোর উৎপাদনপদ্ধতির সাথে পরিচয়। এটি বিকল্পের ধারণা দৃঢ়মূল করে মৌলবাদকে নিরুৎসাহিত করে এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও চর্চা নিশ্চিত করে।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যারয়ের (ঢাবি) আর সি মজুমদার অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত 'বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া বলতে কি বোঝায়' শীর্ষক এক গণবক্তৃতায় এসব মন্তব্য করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। রিডিং ক্লাব ট্রাস্ট ও জ্ঞানতপস আব্দুর রাজ্জাক ফাউন্ডেশন ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া বলতে কী বোঝায়’ শীর্ষক এই বক্তৃতা যৌথভাবে আয়োজন করে।
তিনি বলেন বলেন, বাংলাদেশে নানা লক্ষণ থেকে নিশ্চিত করে বলা যায়, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বোক্ত চর্চায় হয় প্রবেশ করিনি বা সামান্যই করেছি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ধারণা অনেকটা বৃত্তিমূলক। ফলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উন্নতমানের কলেজে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা ধার করা।
ঔপনিবেশিক অপর হিসাবে জীবনযাপনের অভিজ্ঞতাই নিঃসন্দেহে এ অবস্থার কারণ। আমরা রাষ্ট্র চালাই কোনো ধারণা ছাড়াই অথবা বিশ্বব্যাংক বা অনুরূপ কোনো কোনো পশ্চিমের ফতোয়া মোতাবেক। সেবাখাতের উঁচু পদগুলোতে বা পরিকল্পনা প্রণয়নকারী রূপে বা উঁচু কৌশল দরকার হয় এমন চাকরিগুলোতে আমাদের ধার করতে হয় বিদেশি ‘গ্র্যাজুয়েট’। বস্তুত এ ধরনের পদে নিযুক্ত হওয়ার জন্য যে ধরনের শিক্ষা-আয়োজন দরকার, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সে ধরনের সক্ষমতা কখনোই অর্জন করেনি।
শিক্ষা সংক্রান্ত খবরাখবর নিয়মিত পেতে রেজিস্ট্রেশন করুন অথবা Log In করুন।
Account Benefitতিনি আরো বলেন, আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আকারে-আয়তনে, দর্শনে অতি মাত্রায় অনমনীয় বা রিজিড, যা ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ ধারণার পরিপন্থি। এই রিজিডিটি আমাদের সমাজেরই প্রতীকী প্রকাশ ব্যক্তির ব্যক্তিত্বকে বা স্বাধীনতাকে চূড়ান্ত মাত্রায় বেঁধে রাখার প্রাণান্তকর প্রয়াস। সমাজে তা ভাঙা কঠিন, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে সম্ভব। বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তিমূলক শিক্ষার মানসিকতা ছেড়ে ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা’য় প্রবেশ করলে তা সমাজকেও প্রভাবিত করবে বলে আশা করা যায়।
সভাপতির বক্তব্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাফল্য নির্ধারণ করি পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রদত্ত ডিগ্রির সংখ্যার উপর নির্ভর করে। বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীন চিন্তা ও মত প্রকাশের জায়গা। কিন্তু বর্তমানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কথা বলার পরিসর সংকুচিত হয়েও আসছে।
ক্লাসরুম কিংবা আবাসিক হল সব জায়গায় শিক্ষার্থীদের বিশেষ ছাঁচে গড়ে তুলছেন। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা দর্শনের বিপরীত পরিস্থিতি আমাদের বিদ্ধৎমহল, বিশেষত শিক্ষকরাও গ্রহণ করে নিয়েছেন। ফলে, তাঁরা সমাজে ও রাষ্ট্রে সংঘটিত অন্যায় ও অবিচারের প্রতিবাদ করার বুদ্ধিবুত্তিক ও নৈতিক জোর হারিয়ে ফেলেন।
More detail about
Dhaka University
- মাস্টার্স শেষ পর্ব পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ
- এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্টিফিকেট কোর্স- ইংলিশ, চাইনিজ, আরবি, ফ্রেঞ্চ
- বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল-বিজ্ঞপ্তি
- বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর
- খুবির ৬ষ্ঠ সমাবর্তন ২২ ডিসেম্বর
- জবির সমাবর্তন ১১ জানুয়ারি
- জবিতে শূন্য আসনে ভর্তির সাক্ষাৎকার শুরু ২০ ডিসেম্বর
- রাবিতে আন্তর্জাতিক ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন শুরু বৃহস্পতিবার
- অনার্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা শুরু ১৩ জানুয়ারি; মাস্টার্স রিলিজ স্লিপ আবেদন শুরু ১৯ ডিসেম্বর
- ডিজিটাল মেলা-২০২০ উপলক্ষে টেলিকমিউনিকেশন দফতরের রচনা প্রতিযোগিতা
- ঢাকা পলিটেকনিকে জানুয়ারি-জুন’২০ সেশনে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তি শুরু
- জেএসসি-পিইসির ফল বছরের শেষ দিন
- ৪০তম বিসিএস: লিখিত পরীক্ষা ৪-৮ জানুয়ারি
- তিতুমীর কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের নিবন্ধন শেষ আজ
Submit Your Comments: