প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর বৃত্তির ফল প্রকাশ
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর বৃত্তির ফল প্রকাশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ মঙ্গলবার (০৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে বৃত্তির ফলাফলের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী জানান, এবছর মেধা কোটায় (ট্যালেন্টপুলে) বৃত্তি পেয়ছে ৩৩ হাজার শিক্ষার্থী, ইতিপূর্বে যা ছিল ২২ হাজার। এবার সাধারণ কোটায় বৃত্তি পেয়েছে ৪৯ হাজার ৫০০ জন। গতবছর যা ছিলো ৩৩ হাজার।
মেধা কোটায় বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসে ৩০০ টাকা করে এবং সাধারণ কোটায় বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসে ২২৫ টাকা করে পাবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়।
এ বৃত্তির ফলাফল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী আরো বলেন, চলতি বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় বহু নির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) বাদ দিয়ে শতভাগ যোগ্যতাভিত্তিক বা সৃজনশীল প্রশ্ন রাখা হচ্ছে। সিলেবাস থেকেই প্রশ্ন লিখতে হবে শিক্ষার্থীদের।
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর বৃত্তির ফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় প্রাথমিক সমাপনীতে এমসিকিউ রাখছি না। প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের সময় যে ঘটনাগুলো ঘটেছিল বা সেগুলো নিয়ে জ্ঞানী-গুণী-বিদগ্ধদের মধ্যে যে আলোচনাহয়েছে, আমরা বিভিন্ন আলোচনার মধ্যদিয়ে অনেক পরামর্শ পেয়েছি। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ যেমন, রাষ্ট্রপতি, সর্বোচ্চ পদাধিকার; তিনিও পরামর্শ দিয়েছেন।
‘আমরা চাই নকলমুক্ত পরিবেশে আমাদের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিক। শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন ফাঁসের এই জ্বালা নিয়ে না জ্বলুক আমরা চাই। শিক্ষাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সরকারের যে প্রাণান্তকর চেষ্টা, তার মধ্যে এ জাতীয় কর্মকান্ডগুলো বিষফোঁড়ার মতো। এটা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য এ ভাবনাটি নিয়ে আমরা ভাবছি।’
মন্ত্রী জানান, পরিপত্র জারি করা হয়েছে। স্কুলগুলোতে মেসেজ চলে গেছে। স্কুলে বাচ্চাদের বলেছি পুরোপুরি সিলেবাসের উপর থাকেন, সিলেবাসের মধ্য থেকে টিক দেওয়ার জন্য না কোনটা আসবে সেটা নিয়ে কাজ করছি। যাদের জানার দরকার বিশেষ করে শিক্ষকরা সবাই জেনে গেছেন। ফিরে গেলে পুরোটাই ফিরে যাবো।
যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নকেই সৃজনশীল প্রশ্ন বলা হচ্ছে, যা গত কয়েক বছর ধরে ধাপে ধাপে নম্বর বাড়িয়েছে নেপ।
উল্লেখ্য, পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ২০০৯ সালে শুরু হওয়া প্রাথমিক সমাপনীতে ২০১২ সালে ১০ শতাংশ সৃজনশীল প্রশ্ন সংযোজন করা হয়েছিল। ২০১৩ সালে ২৫ শতাংশ, ২০১৪ সালে ৩৫ শতাংশ এবং ২০১৫ সালে ৫০ শতাংশ সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৭ সালে ৮০ শতাংশ এবং ২০১৬ সালে প্রতি বিষয়ে ৬৫ শতাংশ প্রশ্ন যোগ্যতাভিত্তিক ছিল।শিক্ষা সংক্রান্ত খবরাখবর নিয়মিত পেতে রেজিস্ট্রেশন করুন অথবা Log In করুন।
Account Benefit
- মাস্টার্স শেষ পর্ব পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ
- এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্টিফিকেট কোর্স- ইংলিশ, চাইনিজ, আরবি, ফ্রেঞ্চ
- বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল-বিজ্ঞপ্তি
- বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর
- খুবির ৬ষ্ঠ সমাবর্তন ২২ ডিসেম্বর
- জবির সমাবর্তন ১১ জানুয়ারি
- জবিতে শূন্য আসনে ভর্তির সাক্ষাৎকার শুরু ২০ ডিসেম্বর
- রাবিতে আন্তর্জাতিক ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন শুরু বৃহস্পতিবার
- অনার্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা শুরু ১৩ জানুয়ারি; মাস্টার্স রিলিজ স্লিপ আবেদন শুরু ১৯ ডিসেম্বর
- ডিজিটাল মেলা-২০২০ উপলক্ষে টেলিকমিউনিকেশন দফতরের রচনা প্রতিযোগিতা
- ঢাকা পলিটেকনিকে জানুয়ারি-জুন’২০ সেশনে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তি শুরু
- জেএসসি-পিইসির ফল বছরের শেষ দিন
- ৪০তম বিসিএস: লিখিত পরীক্ষা ৪-৮ জানুয়ারি
- তিতুমীর কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের নিবন্ধন শেষ আজ
Submit Your Comments: