৫৭ তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করলো বাকৃবি

শোভাযাত্রায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

শোভাযাত্রা ও বৃক্ষরোপণের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উচ্চতর কৃষি শিক্ষা ও গবেষণার অন্যতম বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) প্রতিষ্ঠা দিবস গতকাল শুক্রবার (১৮ আগষ্ট, ২০১৭) পালন করা হয়।

শোকের মাস হওয়ায় তেমন কোনো কর্মসূচি পালন করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে আগামী সেপ্টেম্বরে জাঁকজমকপূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।

শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলিপ্যাড থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রা শেষে বৃক্ষরোপণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর।

বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। এ দেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, অর্থনীতির মূল ভিত্তিই হচ্ছে কৃষি। দেশের মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণ ও দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে ১৯৬১ সালের ১৮ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়টি গড়ে তোলা হয়।
বাউকুল, শুকনো পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষ, একায়াপনিক্স এর মাধ্যমে মাছ এবং সবজি উৎপাদন, তারাবাইম, গুচিবাইম ও বাটা মাছের কৃত্রিম প্রজননসহ অসংখ্য গবেষণায় রয়েছে বাকৃবির সাফল্য।

শিক্ষা সংক্রান্ত খবরাখবর নিয়মিত পেতে রেজিস্ট্রেশন করুন অথবা Log In করুন।

Account Benefitএদিকে, গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য ওয়েবোমেট্রিক্স থেকে সম্প্রতি প্রকাশিত আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিং এ বাংলাদেশের মধ্যে সেরা হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে সাত কোটি। তখন প্রতি বছর দেশে ছিল প্রচণ্ড খাদ্যাভাব ছিল। ক্ষুধা দুর্ভিক্ষে মারা গেছে অসংখ্য মানুষ। ২০১৭ সালে জনসংখ্যা ১৬ কোটির কোঠায় পৌঁছেছে। কমেছে আবাদি কৃষি জমির পরিমাণও। তারপরও বাংলাদেশ খাদ্যে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। আর এ সাফল্যে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
More detail about
Bangladesh Agricultural University