কম খরচে ন্যাভাল আর্কিটেকচারে পড়াশোনা হবে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে

সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি

নিজেদের যান্ত্রিক জীবন ছেড়ে রোমাঞ্চকর জীবন যাপনের স্বপ্ন দেখেন অনেকেই। প্রতিদিনের জীবনে ভিন্নতার স্বাদ আনতে অনেকেই সাগরে পাড়ি জমান। অনেকেই আবার জাহাজে সমুদ্রে পাড়ি দেয়ার স্বপ্ন দেখেন। জীবনের এই স্বপ্ন সত্যি হতে পারে যদি আপনি পেশা হিসেবে বেছে নেন ন্যাভাল আর্কিটেকচার ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং (নৌযান ও নৌযন্ত্র প্রকৌশল)।

বিশাল নীল সাগরই হতে পারে আপনার কর্মক্ষেত্র। বিশ্বের সব দেশেই এখন ন্যাভাল আর্কিটেকচার ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কদর বেশি। চ্যালেঞ্জ প্রিয় তরুণদের নিকট এটি হয়ে উঠছে একটি জনপ্রিয় পেশা। বাংলাদেশেও এখন তরুণদের নিকট এই পেশা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

ন্যাভাল আর্কিটেকচার ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিষয়বস্তু: এই বিষয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন রকম নৌযান ডিজাইন ও তৈরির কৌশল, নৌযান পরিচালনার কৌশল এবং পরিত্যক্ত নৌযান থেকে অন্যান্য প্রয়োজনীয় বস্তু তৈরীর কৌশল পড়ানো হয়।

বিষয়ের চাহিদা: বর্তমানে বাংলাদেশে ন্যাভাল আর্কিটেকচার ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ার চাহিদা বাড়ছে। তবে বাংলাদেশ ছাড়াও দেশের বাইরে অনেক দেশেই এর চাহিদা রয়েছে।

কেন পড়বেন:
নৌযান ও নৌযন্ত্র কৌশল বা মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং নৌযানের স্থাপত্যশৈলী, নির্মাণকৌশল, সব ধরনের নৌযন্ত্রের গঠন, ক্রিয়াকৌশল ও নৌপথের সব খুঁটিনাটি দিক নিয়েই কাজ করে। বাংলাদেশের তরুণদের জন্য এটি একটি অপার সম্ভাবনার ক্ষেত্র। এ ব্যাপারে কেমব্রিজ মেরিটাইম কলেজের পরিচালক খোরশেদ আলমের কাছ থেকে জানা যায়, জাতিসংঘের হিসাব অনুসারে ৯০ শতাংশ মালামালই বিশ্ববাণিজ্যে পরিবাহিত হয় জাহাজের মাধ্যমে। দেশে ও বিদেশে তাই এ বিষয়ে কাজের ক্ষেত্র অত্যন্ত বিস্তৃত। শিপবিল্ডিং, শিপ রিপেয়ারিং, শিপিং পরিবহনসহ এ খাতে জাতিসংঘ এক হাজার ৬০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মতো আয় করে থাকে। এর ২ শতাংশও যদি বাংলাদেশ নিয়ে আসে, তাহলে নিঃসন্দেহে দেশীয় অর্থনীতি ও তরুণদের জন্য তা বিরাট সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিতে পারে।
এ ছাড়া দ্রুত প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ, সেই সঙ্গে সাগরের নীল রাজ্যে রোমাঞ্চকর ও বৈচিত্র্যময় এক ক্যারিয়ারের হাতছানিতে তরুণদের কাছে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যারিয়ার গড়ার পছন্দনীয় ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে একটি।

উচ্চশিক্ষা: ন্যাভাল আর্কিটেকচার ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য বিভিন্ন দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করে থাকে।

শিক্ষা সংক্রান্ত খবরাখবর নিয়মিত পেতে রেজিস্ট্রেশন করুন অথবা Log In করুন।

Account Benefitবাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই এ বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা এই বিষয়ে পড়াশোনা করতে পারবে।

বাংলাদেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে যেসকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যাভাল আর্কিটেকচার ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া যায় তার অন্যতম একটি হচ্ছে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি। এখানে অনেক কম খরচে শিক্ষার্থীরা ন্যাভাল আর্কিটেকচার ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে পারবে।

সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনার জন্য শিক্ষার্থীদের পূর্বের ফলাফলের ভিত্তিতে বৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে। এছাড়াও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য টিউশন ফি’র ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ ছাড় রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়য়ের অধ্যায়নরত এবং ভর্তির ক্ষেত্রে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্যও সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে বিভিন্ন বৃত্তি প্রদান করা হয়।

সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে চার বছর মেয়াদী বিএসসি ইন ন্যাভাল আর্কিটেকচার ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিংএ ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফি’ পরবে ১১ হাজার ৫০০টাকা। প্রতি ক্রেডিট ফি- ২০০ টাকা এবং সেমিস্টার ফি’ প্রতি খরচ হবে ৪০০০ টাকা।

হাতে কলমে শিক্ষা প্রদানের জন্য সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্যুরের ব্যবস্থা রয়েছে। সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির ঢাকার বাইরের শিক্ষার্থীদের জন্য জন্য আবাসিক ব্যবস্থা রয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য সোনারগা&ও ইউনিভার্সিটির নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাও রয়েছে। শিক্ষার্থীদফের জন্য আরও রয়েছে স্বাস্থ্যসম্মত খাবারসহ উন্নতমানের ক্যান্টিন এবং সার্বক্ষণিক ডাক্তারের ব্যবস্থা। এছাড়া পড়াশোনা শেষেই শিক্ষার্থীদের জন্য চাকরির ব্যবস্থা নিশ্চিত করে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি।

সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে ন্যাভাল আর্কিটেকচার ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনার জন্য আরও বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়য়ের ওয়েবসাইট (www.su.edu.bd) অথবা ১৪৭/১ গ্রীন রোড, তেজগাঁও, ঢাকা থেকে জানা যাবে।
More detail about
Sonargaon University