ডোল ভরা আশা আর কুলো ভরা ছাই !
আজকের তরুণ শিক্ষার্থী আগামী দিনের সম্পদ। তাই তাদের সুশিক্ষিত করার জন্য রয়েছে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষিত করার ক্ষেত্রে চলছে শুভংকরের ফাঁকি!
দেখা যাচ্ছে দেশের বেশিরভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর কোনো নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাস নেই। ভাড়া করা ভবন নিয়ে তারা তাদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে।
ছেলে-মেয়েদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে হলে শুধু শিক্ষা নয় প্রয়োজন সুন্দর সুস্থ্য মন ও মানসিকতা। যা সাধারনত বিনোদন, খেলাধুলার মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব। বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতেই শ্রেণীকক্ষে জায়গা কম। সেখানে তারা অভ্যন্তরীন বা মাঠে কোনো খেলাধুলা করার পরিবেশ পাচ্ছে না। নেই সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড পরিচালনার পর্যাপ্ত জায়গা। যার ফলে তরুণ সমাজ সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গী কর্মকান্ডসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে যাচ্ছে। আর এই সুযোগে একদল স্বাধীনতা বিরোধী চক্র ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে তাদের নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধ করার জন্য দেশের তরুণ সমাজকে ধ্বংসের পথে এগিয়ে দিচ্ছে। এর ফলে দেশ হারাচ্ছে তার ভবিষ্যৎ কর্ণধার, একজন মা হারাচ্ছে তার সন্তান। যার সম্পূর্ন প্রভাব পরছে পুরো জাতির উপর। মেধাশূণ্যতার কারনে দেশে দিন দিন বাড়ছে পরনির্ভশীলতা।
বর্তমানে বাংলাদেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৯৫ টি এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৪০ টি। শিক্ষামন্ত্রীর ভাষ্যমতে, বর্তমানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে প্রায় ১৬৩২ জন বিদেশী শিক্ষার্থী অধ্যায়ন করছে। এই সংখ্যাটা আরো বৃদ্ধি পেত যদি আমাদের দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার মান আরো উন্নত হতো। বিখ্যাত কথা সাহিত্যিক মোতাহের হোসেন চৌধুরী তার ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে বলেছিলেন, “জীবসত্তার ঘর থেকে মানবসত্তার ঘরে উঠবার মই হচ্ছে শিক্ষা”। শিক্ষাই আমাদের মানবসত্তার ঘরে নিয়ে যেতে পারে। কিন্তু এই শিক্ষার মান নিয়ে যদি প্রশ্ন ওঠে তবে দেশের তরুণ সমাজের বড় বড় ডিগ্রি অর্জনের মান নিয়ে সংশয় থেকে যায়। দেশ ও জাতি এই তরুণ সমাজের কাছে কিছু আশা রাখতে পারে না।
শিক্ষা সংক্রান্ত খবরাখবর নিয়মিত পেতে রেজিস্ট্রেশন করুন অথবা Log In করুন।
Account Benefitআমরা জানি, সুশিক্ষা লাভের জন্য আমাদের প্রয়োজন একটি সুন্দর মন ও সুস্থ্য মানসিকতা। আর এই দুইই লাভ করার অন্যতম একটি মাধ্যম খেলাধুলা ও বিনোদন। অথচ বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে নেই পর্যাপ্ত খেলাধুলার মাঠ, ব্যবস্থা নেই পর্যাপ্ত সাংস্কৃতিক চর্চার। বর্তমানে খেলাধুলা ও বিনোদনের বিকল্প হিসেবে শিক্ষার্থীরা অত্যাধিক পরিমাণে ইন্টানেট, স্মার্টফোনের দিকে ঝুঁকে পরছে। ইন্টারনেট অনেকক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করলেও এর উল্টোদিক অর্থাৎ এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অপরাধ বা অনৈতিক কাজের সাথেই বেশি জড়িয়ে পরছে। আত্মহত্যা , খুন, ধর্ষণ এর মত জঘন্য অপরাধের সাথে জড়িয়ে যেতেও তারা দ্বিধা করছে না। এতে করে সামাজিক অবক্ষয় বেড়েই চলেছে।
সরকারের এ বিষয়ে অচিরেই প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত বলে মনে করছে অবিভাবকবৃন্দ। যদি তা করা সম্ভব না হয় তবে তরুণ প্রজন্ম রবীন্দ্রনাথের ‘ছুটি’ গল্পের ফটিকের মত হারিয়ে যাবে। অপরদিকে তাদের মাধ্যমেই সংঘটিত হবে হলি আর্টিজানের মত জঘন্যতম অপরাধ। যারা শিক্ষা পেয়েছিল কিন্তু সুশিক্ষা পায়নি।
- মাস্টার্স শেষ পর্ব পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ
- এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্টিফিকেট কোর্স- ইংলিশ, চাইনিজ, আরবি, ফ্রেঞ্চ
- বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল-বিজ্ঞপ্তি
- বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর
- খুবির ৬ষ্ঠ সমাবর্তন ২২ ডিসেম্বর
- জবির সমাবর্তন ১১ জানুয়ারি
- জবিতে শূন্য আসনে ভর্তির সাক্ষাৎকার শুরু ২০ ডিসেম্বর
- রাবিতে আন্তর্জাতিক ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন শুরু বৃহস্পতিবার
- অনার্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা শুরু ১৩ জানুয়ারি; মাস্টার্স রিলিজ স্লিপ আবেদন শুরু ১৯ ডিসেম্বর
- ডিজিটাল মেলা-২০২০ উপলক্ষে টেলিকমিউনিকেশন দফতরের রচনা প্রতিযোগিতা
- ঢাকা পলিটেকনিকে জানুয়ারি-জুন’২০ সেশনে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তি শুরু
- জেএসসি-পিইসির ফল বছরের শেষ দিন
- ৪০তম বিসিএস: লিখিত পরীক্ষা ৪-৮ জানুয়ারি
- তিতুমীর কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের নিবন্ধন শেষ আজ
Submit Your Comments: